কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইংরেজি শব্দ Hello বলা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে বলা যায় আন্দোলন চলছে।
Hello না বলার আন্দোলন হিসেবে একটা পিকচারও তৈরি করা হয়েছে।
পিকচারে লেখা আছে সৌদি আরবের ৭০ জন উলামা ফোনে হ্যালো বলা হারাম করে দিয়েছেন। কারন hell অর্থ জাহান্নাম আর সেই hell থেকে hello এসেছে। আর হ্যালো অর্থ জাহান্নামী।😠😠
সুতরাং আমরা hello পরিহার করতেই হবে নয়তো ঈমান থাকবেনা। 😃😃
ওরে বোকার দল, সৌদি আরবে কি ৭০ জন উলামা আছেন? আর উলামা নাই? সারা বিশ্বের আর কোথাও উলামা নাই ?
Hello না বলার আন্দোলন হিসেবে একটা পিকচারও তৈরি করা হয়েছে।
পিকচারে লেখা আছে সৌদি আরবের ৭০ জন উলামা ফোনে হ্যালো বলা হারাম করে দিয়েছেন। কারন hell অর্থ জাহান্নাম আর সেই hell থেকে hello এসেছে। আর হ্যালো অর্থ জাহান্নামী।😠😠
সুতরাং আমরা hello পরিহার করতেই হবে নয়তো ঈমান থাকবেনা। 😃😃
ওরে বোকার দল, সৌদি আরবে কি ৭০ জন উলামা আছেন? আর উলামা নাই? সারা বিশ্বের আর কোথাও উলামা নাই ?
Hello জার্মানি শব্দ। যা প্রথমে Holo, Hallo ছিল তখন ১৭৯৭ সন। Holo বা Hallo বাংলায় "এই" বা "ঐ" অর্থে ব্যবহার হয়।
১৮৮৬ সালে জার্মানিতে মাঝিকে ডাকার লক্ষেই ব্যবহার শুরু হয়। তা পরবর্তিতে সময়ের পালাবদলে Holo>Hallo থেকে Hello হয়।
তাহলে দেখা যাচ্ছে কাউকে ডাকা বা সম্বোধনের জন্য hello শব্দ ইউজড হয়।
স্বাভাবিক সম্বোধনের পাশাপাশি যোগ হয় টেলিফোনে Hello ব্যবহার। ১৮৭০ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেন।
Margarat
hello bell ‘হ্যালো’ একটি মেয়ের নাম, পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো (Margaret
Hello)। তিনি ছিলেন আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেলের (Alaxander Graham Bell)
গার্লফ্রেন্ড। গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করে তিনি প্রথম যে কথাটি বলেন,
তা হলো ‘হ্যালো’।
একজন এক্সচেঞ্জার টমাস এডিসন প্রথমে তিনিই
Ahoi তারপর Hoilo টেলিফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে ডাকতেন বা সাড়াশব্দ শুনার জন্য ব্যাবহার করতেন।
সেটা সব শেষে
Hello তে এসে স্থির হয়।
ভাষাগত দিক বিশ্লেষিত উপরের লিখায় Hello শব্দের অর্থ জাহান্নামের বুঝানোর জন্য ব্যবহার হয়নি।
শুরুতে মাঝি পরবর্তিতে টেলিফোনের সাড়াশব্দ পাওয়ার জন্য আধুনিক যুগে ডাকার জন্য ব্যবহার হচ্ছে। তাহলে কিসের উপর ভিত্তি করে এই বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে?
Hell একদম আলাদা শব্দ যার অর্থ জাহান্নাম। ধরেই নিলাম Hell অর্থ জাহান্নাম তাই বলে কি উনারা জানেন না শব্দের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সময় আসল অর্থ অনর্থক হয়ে যায়। ভাষা এবং স্থানগত কারণে একেক শব্দ একেক ভাষায় একেক স্থানে একেক অর্থ দাঁড়ায়।
তাছাড়া ইসলাম কচু পাতার উপর পানির বিন্দু নয় যে নাড়ালেই শেষ হয়ে যাবে। যে বা যারা এসব মিথ্যে রটায় তারা এনজয় করে ,ফেসবুকে লাইক কুড়ায়। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কিছু একটা দিয়ে মজা নেওয়া। বিশেষ করে ধর্মকে ব্যবহার করে দূর্বলতার সুযোগ নেয়। অযথা সময় নষ্ট করে মজা নেওয়ায় ওদের লক্ষ। যারা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে উস্কানির জগতে কেবল তারাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তাদের এই বিভ্রান্তির ফলে সাধারণ মুসলমানের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিভ্রান্তি। সমাজের সর্বস্তরের সাধারণ মুসলমান না বুঝে এসব বিভ্রান্তিতে নাক গলায়।
আমরা এমন মুসলমান কেউ যদি আরবিতে বুঝিয়ে দেয় অন্যায় কাজ করা যাবে। আমরা সেই আরবির সত্যতা যাচাই না করে মজে যাই।
দু চার লাইন আরবি বলার পর আল - হাদিস বললেই সেটা আমাদের প্রাণ প্রিয় রাসুল মোহাম্মদ মুস্তফা (স) এর হাদিস কিনা সেটা যাচাই না করেই সঠিক বলে মেনে নেই।
ইসলাম জানার বিষয় বুঝার বিষয়। জানতে হলে বুঝতে হলে ডিগ্রিধারী হতে হয়না বড় মুফতি হতে হবে তা নয় বরং ইচ্ছে থাকতে হয়, পড়তে হয়, শুনতে হয়, সার্চ করতে হয়ে। আলেম সমাজের কথাবার্তা যাচাই করে নিতে হয়। ইসলাম সহজ কঠিন নয়। কারো মুখের কথায় ঈমান আসেনা আবার যায়ও না।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝার ক্ষমতা দান করুন, আমীন!
